চোরাচালান, আধিপত্য নিয়ে বিরোধ: দুর্গাপুরে আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

খবর ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মজিবর রহমানকে (৫১) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের শিবগঞ্জ ফেরী ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ১জনকে আটক করেছে। নিহত মজিবর রহমান দুর্গাপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন বলে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। মজিবর বিরিশিরি ইউনিয়নের নলজোরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মারামারি, সীমান্তে পাচার কারবারসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমানের সঙ্গে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আবদুল আওয়াল এবং তার ভাই মো. শামিম মিয়া (৩৩) ও মো. বদিউজ্জামানের (৪২) সীমান্তে চোরাচালান কারবার ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

রোববার সকালে মজিবর রহমানের ভাতিজা সরকারি সুসং ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র খায়রুল ইসলাম কলেজে যায়। এ সময় তাকে আবদুল আওয়ালের ছেলে একদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আবির মারধর করে। কিছুক্ষণ পর খায়রুল তার এলাকা শিবগঞ্জ ঘাটে এসে লোকজন নিয়ে আবিরকে মারধর করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বেলা ১১টার দিকে আবদুল আওয়ালের ছোট ভাই শামিম মিয়া লোকজন নিয়ে এসে খায়রুলের বাবা মজিবর রহমানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মজিবরের একটি টিনের দোকান ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিপক্ষের হামলায় মজিবর, তার ছেলে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রাজন, মো. ছাব্বির, স্বজন ফারুক মিয়া, নাঈম মিয়াসহ অন্তত ৬জন আহত হন। গুরুতর আহত মজিবর রহমানকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মজিবরের ছেলে আহত মো. ছাব্বির দাবি করেন, ‘শামিম তার দলবল নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আব্বাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

জানতে চাইলে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে মজিবর রহমান নামের একজন নিহত হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে পুলিশ আটক করেছে। নিহত মজিবরের নামে গত ১০ বছরে ১২টি মামলা রয়েছে। আর শামিমের বিরুদ্ধে খুন, মাদক, অস্ত্র, নাশকতা, সীমান্তে চোরাচালানসহ অন্তত ২৫টি, তার বড় ভাই আবদুল আওয়ালের নামে ২৪টি ও বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন