
খবর ডেস্ক :
হাত-পা টিপানোর জন্য এক ছাত্রকে ডেকে নিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক। শিক্ষককে পেনিস (পুরুষাঙ্গ)-এ ক্রিম দিয়ে মালিশ করার জন্য বলেই ছাত্র-শিক্ষকের সাথে বাধে গন্ডগোল।
ছাত্রের লুঙ্গি খুলে পায়ু পথে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নালিশ যায় ছাত্রের অভিভাবক ও মাদ্রাসার কমিটির কাছে। অবশেষে ধারাবাহিকভাবে
চার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণ চেষ্টার মামলাও হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন এক ভিকটিমের বাবা।
আটক মোঃ ওমর ফারুক (২১) বাঁশখালী থানাধীন কাথারিয়ার কাথারিয়া বাজারের বাগমারা এলাকার মোঃ মোস্তফা কামাল ছেলে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা দৈনিক আজাদীকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুককে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এতদসংক্রান্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সং/০৩) এর ১০/৯(৪)(খ) ধারায় বন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমদের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাদেরকেও আদালতে পাঠিয়েছি।
থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনা ঘটে বন্দর থানাধীন ২নং মাইলের মাথা কলসীদিঘীর পাড় বাদামতলা মোড় সংলগ্ন নওয়াব আলী ম্যানশন, ২য় তলা মার্কাজুল হুফফাজ মাদ্রাসার হলরুমের অভ্যন্তরে। ভিকটিমের বয়স ১২ বছর। তার গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানা এলাকায়।
ভিকটিমের পিতা ভিকটিমকে কোরআন হেফজ্ শিক্ষার জন্য বিগত ২ বছর পূর্বে বন্দর থানাধীন মার্কাজুল হুফফাজ নামে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করান। উক্ত মাদ্রাসায় ভিকটিমসহ আরো ৫০/৬০ জন ছাত্র আছে। মামলার ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত মোঃ ওমর ফারুক (২১) চলতি বছরের অক্টোবরে ২০ তারিখ রাত আনুমানিক ১টায় এবং নভেম্বরের ৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১ টায় ঐ ভিকটিমকে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক তার বিছানায় নিয়ে গিয়ে হাত-পা টিপানোসহ অভিযুক্ত শিক্ষককে মালিশ করার জন্য বলে।
পরে ঘটনার বিষয়টি ভিকটিম তার পিতা-মাতাকে জানাইলে ভিকটিম এর পিতা মাদ্রাসার পরিচালককে জানায়। অতঃপর মাদ্রাসার পরিচালক-মোঃ হেলাল উদ্দিন (২৫) ও ভিকটিম এর পিতা-আবু আহমদ (৬৬) দ্বয় অভিযুক্ত মোঃ ওমর ফারুক (২১)কে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করায় অভিযুক্তকে আটক পূর্বক বন্দর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।