
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি : নগরের জামালখান মোড়ে গত শুক্রবার মধ্যরাতে শেখ হাসিনার সমর্থনে ঝটিকা মিছিলের পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তৎপরতা বেড়েছে। গত শুক্রবার থেকে গতকাল সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলা, মারধর ও গুলিবর্ষণকারীর করার দায়ে ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই ছাত্র আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহাভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, নগরে মধ্যরাতে শেখ হাসিনার সমর্থনে ঝটিকা মিছিলের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে নগরজুড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ সমাবেশ, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিছিলকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেয়। অন্যথায় তিন থানার ওসিসহ পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এর পরেই তৎপর হয়ে উঠে সিএমপির সকল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সরকার পতনের পর দায়ের হওয়া মামলাগুলোর আসামি ধরতে প্রতিদিনই বিশেষ অভিযান চলছে। ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী, সরকার পতন পরবর্তী মামলার আসামি এবং নাশকতা মামলার আসামিদের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে নিরীহ কেউ যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হন, পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই তারা কাজ করছেন।
গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তিনি আজাদীকে বলেন, সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত তিন দিনে নগরের ১৬ থানায় বিভিন্ন মামলায় ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে থানা ভাঙচুর, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি রয়েছে। তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত। পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।আ