চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলন : গুলি বর্ষণকারী যুবলীগের সেই ফিরোজ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি : বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলেন নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় দোকান কর্মচারী সায়মান ওরফে মাহিন হত্যা মামলার আসামি মো. ফিরোজকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি টিম। পুলিশ জানায়, যুবলীগ ক্যাডার এই ফিরোজ ‘ডাকাত ফিরোজ’ নামেই পরিচিত। র‌্যাব জানায়, গত ১৮ জুলাই বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চান্দগাঁও এলাকায় মিছিলে অংশ নেয় সায়মান মাহিন। এসময় সে মিছিলে সেøাগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী ফিরোজ ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিছিলে গুলিবর্ষণ করে।

এ সময় মাহিন দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলে ফিরোজ ও তার সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহত মাহিনকে তারা লাঠি-সোটা ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মৃত ভেবে চলে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বন্ধু মোহাম্মদ শরীফ বাদী হয়ে ৪৪ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ-উল-আলম বলেন, এ মামলার আসামি মো. ফিরোজ ফেনীতে অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সাড়ে ৯টায় ফেনী সদর মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফিরোজ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি এবং মহানগর যুবলীগের কর্মী বলে স্বীকার করে।

সে আরো জানায়, গত ১৮ জুলাই তার অন্যান্য সহযোগীরাসহ চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, চাপাতি, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শীর্ষ নেতাদের আদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও আক্রমণ করে হতাহতের ঘটনা ঘটায়। সে নিজে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এমন ছবি পরদিন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, নাশকতা, মাদক এবং ছিনতাইয়ের ৫টি মামলা রয়েছে।ই

মন্তব্য করুন