চট্টগ্রামে কিশোরগ্যাং লিডার ছাত্রলীগ নেতাসহ ২জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি : নগরীর আকবরশাহ থানাধীন ফিরোজশাহ কলোনী এলাকায় কিশোরগ্যাং সদস্যদের পিটুনিতে দাঁতের চিকিৎসক কুরবান আলী নিহতের মামলায় ২ যুবককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা হলেন, কিশোরগ্যাং লিডার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশান ও তার সহযোগী আরিফুল্লাহ রাজু। গত ২৬জুন, বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালতের জামিন শেষে নিশান ও রাজু আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা না মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি আব্দুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, কুরবান আলী হত্যা মামলায় ২জন আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরি। আসামি পক্ষ তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আদালত ২ পক্ষের বক্তব্য শুনে সন্তুষ্ট হয়ে ২ আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে দেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, কুরবান আলী খুনের শিকার হয়েছেন তা সত্য। কিন্তু এ ঘটনায় নিশানের সম্পৃক্ততা ছিল না। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা যায় নি। ঘটনার সময়কাল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিশান তখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল। অপর আসামি রাজু বিষয়ে আইনজীবী এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, রাজুর নাম এজহারেও নেই। আমরা আমাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেছি। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে রাজু, নিশান ২জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতসূত্র জানায়, গত ৫ এপ্রিল আকবরশাহ থানাধীন ফিরোজশাহ কলোনীর ইদগাঁও মাঠ সংলগ্ন এলাকায় দাঁতের চিকিৎসক কুরবান আলীর ছেলে মাদ্রাসা পড়ুয়া আলী রেজাকে মারধর করেন কিশোরগ্যাং সদস্যরা। তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন কুরবান আলী। একপর্যায়ে কুরবান আলীকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় আলী রেজা একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা কারাগারে রয়েছেন। আদালতসূত্র আরো জানায়, ঘটনার আগে অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী এক স্কুল শিক্ষার্থীসহ ২জনকে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা মারধর করার সময় আলী রেজা এগিয়ে গিয়েছিলেন তাদের রক্ষা করতে এবং ৯৯৯ এ ফোন করেছিলেন।

এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১জনকে আটক করেন। এর জেরে ওইদিন রাতেই গোলাম রসুল নিশান তাদের বাসায় গিয়ে হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ এপ্রিল আলী রেজা এবং তার বাবা কুরবান আলীর উপর হামলা করা হয়। কুরবান আলীকে পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়।আ

মন্তব্য করুন