চকরিয়ায় স্ত্রী হত্যাকারী লামায় আটক

মোহাম্মদ আবুল হাশেম (লামা) বান্দরবান : কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী শওকত হাসান মেহেদীকে (২৪) লামা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি’২৫) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমারী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই জামিল আহমেদ লামা ফাঁসিয়াখালী ইউপির কাঠালছড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জুমার নামাজ চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় শাশুড় বাড়ীতে ঢুকে স্ত্রী উম্মে হাফসা তুহিকে খুন করেছে স্বামী শওকত হাসান মেহেদী। এ সময় তুহিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় শাশুড়িকেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়।

নিহত উম্মে হাফসা তুহি (১৮) ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে এবং আহত পারভীন আক্তার (৩৮) তার স্ত্রী। ঘাতক শওকত হাসান মেহেদী (২৪) চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আজম উল্লাহপাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।

মেয়ের বাবা ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আবদুল হামিদ বলেন, ৮ মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জেরে আমার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে খবর দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। গতকাল সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে আমার স্ত্রীসহ আমি বাধা দিই। আত্মীয়স্বজন নিয়ে এলে যেতে দেব বলার পর মেহেদী চলে যায়।

পরে জুমার নামাজ চলাকালীন দুপুর দেড়টার দিকে মেহেদী অতর্কিত এসে তুহি ও তার মাকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে জুমার নামাজ শেষে এসে তাদের আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুহিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত আমার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসক।

এদিকে ঘটনার পরপরই নিহত উম্মে হাফসা আর ঘাতক মেহেদীর একটি কাপল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত ছবি দেখে ঘাতক মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় লামা থানাধীন কুমারী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি চৌকস অফিসার জামিল আহমেদ। আটককৃত আসামিকে লামা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন