
খবর ডেস্ক :
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলে চলমান যুদ্ধে ইসরাইলকে পরাজিত হিসাবে বর্ণনাকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গাজায় সাংবাদিকদের ‘প্রতিদিন হত্যা’ হ্রাসে বৈশ্বিক মিডিয়া সংস্থাগুলোর ওপর আঘাত করেছেন। ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠানরত দুদিনের মর্যাদাপূর্ণ ফোরামের সপ্তম সংস্করণের উদ্বোধনে গতকাল এরদোগান বলেছেন, ‘ইসরাইল গাজায় শুধু নারী, শিশুদেরই হত্যা করছে না বরং সাংবাদিকদেরও কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনে বাধ্য করছে’।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান প্রশ্ন করেন, ‘গাজায় ৭০ জনের বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বের নামকরা সংবাদমাধ্যম কোথায়? নিহত সাংবাদিকদের নিয়ে তারা শিরোনাম দেয় না কেন?’
‘প্রতিদিন একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হচ্ছে, তবুও আমরা এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি শব্দও শুনতে পাচ্ছি না যারা বছরের পর বছর ধরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে প্রচার করে আসছে’।
এদিকে গতকাল ইস্তাম্বুলে তার কসোভার প্রতিকক্ষ ভজোসা ওসমানির সাথে বৈঠকে এরদোগান বলেছেন, ‘ইসরাইলকে তার যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একসাথে কাজ করা উচিত’।
তুর্কিয়ের যোগাযোগ অধিদপ্তর অনুসারে, তিনি এই অঞ্চলে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জন এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিতে আঙ্কারার চলমান প্রচেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি বোমাবর্ষণ এবং স্থল হামলার অধীনে রয়েছে।
এরদোগান কসোভোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন এবং তার অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
তিনি এবং ওসমানী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়েও আলোচনা করেন। কসোভো ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং তুর্কিয়েসহ অনেক দেশ থেকে স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু বেলগ্রেড কখনই কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং দাবি করে যে, তার অঞ্চলটি এখনও সার্বিয়ার অংশ। সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড।