
বক্তব্য দিচ্ছেন দৈনিক আজকের প্রভাত পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও আমাদের খবর পোর্টালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু।
নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালাচ্ছে। তারা নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গণমাধ্যমেও ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসররা রয়েছে। তাদের বিতাড়িত করতে না পারলে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
আজ ২৭ জানুয়ারী (সোমবার) ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্বৈরাচারের দোসরদের আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ‘আপনারা আত্মসমর্পণ করুন। জুলাই অভ্যুত্থানকে স্বীকার করুন। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আমরা চেয়েছিলাম নিয়মতান্ত্রিকভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে; কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গণমাধ্যম, পুলিশ, প্রশাসনসহ সব জায়গা থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের বিতাড়িত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ‘হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরতে হবে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য। কিছু গণমাধ্যম জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ থেকে সরে এসেছে। আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, কিছু গণমাধ্যম তাঁদের নিহত ও মৃত বলে লিখছে। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা শহীদ। বর্তমানে গণমাধ্যম যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তা অতীতে বা কত দিন আগে সম্ভব ছিল, আমাদের জানা নেই।
বক্তারা আরো বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বহু জায়গায় আছে। গণমাধ্যমেও ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায়ও আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। ভারতের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু সেটা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে। যেকোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাংবাদিকরা প্রস্তুত আছেন।
জুলাই বিপ্লবের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার নীতি পরিহার এবং গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণকারী গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে গলমাধ্যম কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।