খালেদা জিয়া রাজনীতির অবসর
1 min read
Khaleda-Zia
খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসরের চিঠি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তারই ভাই প্যারোলের আবেদন করেছেন।
জানা গেছে যে, যেহেতু জেল কর্তৃপক্ষ বলেছে এই আবেদনটি সরাসরি বেগম জিয়াকেই করতে হবে।
সেহেতু বেগম জিয়ার কাছে এই আবেদনটি স্বাক্ষরের জন্য নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন যে, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার বিএনপিকে আড়াল করেই এই প্যারোলের দরকষাকষি করছে।
তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চত করেছেন, প্যারোলের মধ্যস্থতা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার কথা হয়েছে বলে জানা গেছে।প্যারোলের শর্ত এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কামাল হোসেনই যোগাযোগ করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।উল্লেখ্য যে, গতকাল কামাল হোসেনের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই প্যারোলের এই ড্রাফটটি তৈরী করা হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ড. কামাল হোসেন প্যারোল নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করবেন। একটি সূত্র বলছে, প্যারোলের অন্যতম শর্ত হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি থেকে অবসরের একটি চিঠি বিএনপির মহাসচিব এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছেন।
কিন্তু বিএনপি এই চিঠির ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, এ ধরণের প্যারোল,রাজনীতি থেকে অবসর কিংবা বিদেশ যাওয়ার বিষয় তারা কিছুই জানেন না।
কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
তার জায়গায় দলে নতুন কাউকে পূর্ণাঙ্গ চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব করেছেন।জানা যাচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে এই চিঠিটি দিয়েছেন শামীম ইস্কান্দার। সেই চিঠিতে শামীম ইস্কান্দার উল্লেখ করেছেন তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সেই সাক্ষাতে বেগম খালেদা জিয়ার মতামতের ভিত্তিতেই এটি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর
বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন বলেছেন, এমনিতেই এখন রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই বেগম জিয়া।
তার ফাস্টিং ব্লাড সুগার ১৪/১৫। তার বা হাত পুরো বেঁকে গেছে। এছাড়া তিনি একা দাঁড়ানো বা হাঁটতেও পারেন না। আর গত কয়েকদিন ধরে তার তীব্র জ্বর।অবশ্য বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনের জন্য যে উচ্চতর চিকিৎসা দরকার। সেই উচ্চতর চিকিৎসা গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানলেও তারা জানেন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে একটি দরকষাকষি চলছে। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার এবং ড. কামাল হোসেন এর সঙ্গে যুক্ত। তবে বেগম খালেদা জিয়া যদি শেষ পর্যন্ত এই প্যারোল নেন তাহলে তাতে বিএনপির অনেক ক্ষতি হবে বলেই তারা মনে করছেন।বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিএনপি নেতারা এড়িয়ে যান। তবে একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার এই বার্তাটা পেয়েছেন। সংগ্রহিত