কিশোরগ্যাং নিয়ন্ত্রণে সাতকানিয়ার ওসিকে মন্ত্রীর আল্টিমেটাম

১৫দিনের মধ্যে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনাদের থাকার দরকার নেই সাতকানিয়ার ওসিকে মন্ত্রীর আল্টিমেটাম

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলা কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের জন্য থানা পুলিশকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদীয় আসনের চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট থেকে সাতকানিয়ার কেরানীহাট পর্যন্ত মোটর শোভাযাত্রা ও র‍্যালী শেষে আয়োজিত এক জনসভায় স্থানীয় নেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই নির্দেশ দেন। এর আগে এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের সভাপতি ওসমান আলী তার বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়। উন্নয়ন অনেক হয়েছে। এখন আর উন্নয়ন চাইনা। এই কেরানীহাটে সন্ধ্যা হলেই একাধিক কিশোর গ্যাং ছিনতাই, পকেট মার, অপহরণ, জিম্মিসহ মাদকের কারবারে নেমে পড়ে। এতে করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী এখন অসহায়। তাই উন্নয়ন নয় কিশোর গ্যাংমুক্ত সাতকানিয়াতে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাতকানিয়াকে কিশোরগ্যাং ও মাদক মুক্ত করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। তা করতে না পারলে সাতকানিয়ায় আপনাদের থাকার দরকার নাই। আপনারা কেন, কি কারণে, কোন উদ্দেশ্য, কার কথায় কিশোরগ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কিশোরগ্যাং মুক্ত করতে না পারলে বুঝে নিব পুলিশ বিশেষ কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তখন আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমএ সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রফেসর ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনু, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, দোহাজারী পৌরসভার মেয়র মো. লোকমান হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান আলী, নাছির উদ্দীন টিপু, তাপস কান্তি দত্ত ও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন,আওয়ামী লীগে বেঈমান, মুনাফেকের কোনো দরকার নাই। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে দল করে তারাই প্রকৃত আওয়ামী লীগ। একটা সময় বঙ্গবন্ধুর আঙুলের ইশারায় পুরো দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন সেই দিন খুব দূরে নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তথা পুরো দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নির্বাচনে যারা নৌকার বিপক্ষে করেছে তাদের আওয়ামী লীগ করার অধিকার নাই।

মন্তব্য করুন