কিশোরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী স্মৃতি আক্তারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ১ কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১২জুলাই শুক্রবার সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হালুয়াপাড়া এলাকার পাটক্ষেত থেকে স্মৃতি আক্তার (২৪)এর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত স্মৃতি আক্তার (২৪) জেলার কটিয়াদী উপজেলার মানিক মিয়ার মেয়ে এবং একই উপজেলার মসূয়া এলাকার কাতার প্রবাসী আমিন ভুঞার স্ত্রী।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে কাতার প্রবাসী আমিন ভুঞার সাথে বিয়ে হয় স্মৃতি আক্তারের। পাঁচ-ছয় মাস আগে কাতার থেকে এসে স্ত্রীকে শশুরবাড়ীতে রেখে জীবিকার তাগিদে কাতার চলে যান আমিন। স্বামী কাতার চলে যাবার পর থেকে স্মৃতি আক্তার বাবার বাড়ীতেই থাকতেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই।

স্মৃতি আক্তারের পরিবার সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ৯টার দিকে স্বামী আমিন মিয়ার সঙ্গে কথা হয় স্মৃতির। তখন স্মৃতির স্বামী তাঁকে আজ শুক্রবার তাঁর বাড়ী মসূয়া ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য বলেন। আজ শুক্রবার সকালে স্মৃতিকে তাঁর শশুরবাড়ীতে নিয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু স্মৃতি কখন বাড়ী থেকে বের হয়েছেন বা তাঁকে কেউ ডেকে নিয়ে গেছে কিনা এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

নিহতের বাবা মানিক মিয়া বলেন “আমার মেয়েকে একই এলাকার মুজিবুরের ছেলে মেহেদী বিরক্ত করতো। আমার মেয়েকে জোর-জবরদস্তি করে নিয়ে যেতে চাইত। মেহেদী বলত, “হয়ত ছেরি শেষ হইব না হয় বাপ শেষ হইব। বাপেরে মারতে পারে নাই, আমার ছেরিরে মাইরা ফেলছে মেহেদী আর মুজিবুইরা। এরা কি একা মারছে? এদের সঙ্গে আরও পার্টি আছিল। আমার ছেরির রগ কাটছে, বুকে ফারাইছে, গলা জবাই করছে এই জবাই আমারে করতে তোরা, আমার মেয়েরে করলি কেরে তোরা?

নিহত স্মৃতি আক্তারের মা বলেন, “মেহেদী এই কাজ করছে। আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইত। আমার মেয়ে বলত, আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আমার জামাই আছে। আমি বিয়ে করবো কেন?” আমার মেয়েকে কেন বিয়ে করতে পারে না, এই জন্য আমার মেয়েকে নিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই”।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন “জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে মেয়েটির চাচা আমাদের জানান, স্মৃতি আক্তারের মরদেহ পাটক্ষেতে পড়ে আছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রত মরদেহ উদ্ধার করতে যাই।

ওসি আরো বলেন যে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ই

মন্তব্য করুন