
অনলাইন ডেস্ক : কাশ্মীর উপত্যকায় ফের নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছে। পহেলগামে ভয়াবহ হামলায় পর্যটকদের মৃত্যু নিয়ে যখন দেশজুড়ে চাঞ্চল্য, তখন পরদিনই ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা লক (LoC) পার হয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো একদল অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে অভিযানের খবর জানায়। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও কাশ্মীর সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে।
চিনার কর্পসের পক্ষ থেকে এক্স (আগের টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানানো হয়, ২৩ এপ্রিল সকালে বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরের সর্ঝীভন এলাকায় ২-৩ জন অজ্ঞাত অস্ত্রধারী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। সেনাবাহিনীর সতর্ক টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই গোলাগুলিতে সেনা সদস্যরা দুইজন অস্ত্রধারীকে গুলি করে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনী জানায়, ওই এলাকায় এখনো অভিযান চলছে এবং পুরো অঞ্চল ঘিরে তল্লাশি জারি রয়েছে, যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী পালিয়ে যেতে না পারে।
এই অনুপ্রবেশের ঘটনাটি ঘটেছে এমন এক সময়, যখন এর একদিন আগেই কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উরি সেক্টরের অনুপ্রবেশ এবং পহেলগাম হামলার মধ্যে কোনো সংযোগ রয়েছে কিনা, তা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা এবং গোটা অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই ধরনের ধারাবাহিক নিরাপত্তা হুমকি স্পষ্ট করে দিচ্ছে—কাশ্মীর এখনো বহুমাত্রিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে, যার মোকাবিলায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন।ই