জাপানি যাত্রী করোনাভাইরাসে জাহাজে মৃত্যু
1 min read
জাপানি যাত্রী করোনাভাইরাসে জাহাজে মৃত্যু। করোনাভাইরাস ‘কোভিড-১৯’-এ আক্রান্ত হয়ে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রাণ গেল দুই জাপানি যাত্রীর।
এতদিন ছিল সংক্রমণের আতঙ্ক। এবার যোগ হল মৃত্যুভয়ও। করোনাভাইরাস ‘কোভিড-১৯’-এ আক্রান্ত হয়ে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রাণ গেল দুই জাপানি যাত্রীর। একজন পুরুষ ও অন্যজন নারী, দু’জনেরই বয়স আশির কোঠায়। জাহাজের আইসোলেশন কেবিনে এতদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাদের। কেবিনের বাকি রোগীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জাপানের ইয়োকোহোমা বন্দরের কাছে এখনও কোয়ারেন্টাইন করে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস। দু’সপ্তাহের সময়সীমা পেরিয়েছে। ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হুহু করে।
রিপোর্ট বলছে, জাহাজের ৩,৭০০ যাত্রীর মধ্যে ৬৫০ জনই ভাইরাস আক্রান্ত। সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশন কেবিনে রাখা হয়েছে আরও শতাধিক যাত্রীকে।
জাহাজের ১৬০ জন ভারতীয় ক্রু মেম্বারদের মধ্যে তিনজনের সংক্রমণের কথা জানা গেছে।
বাকিরাও সংক্রমণের ভয়ে বারে বারেই বাড়ি ফেরানোর অনুরোধ জানাচ্ছে মোদি সরকারকে।
জাহাজে এই দুই জাপানি যাত্রীর মৃত্যুর পরে, সেই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। মৃত্যুভয় ক্রমশ গ্রাস করছে সবাইকে।
থামছেই না প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বুধবার কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশে আরও ১০৮ জন মারা গেছেন।
এ নিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ১১২ জনে।
বিশ্বব্যাপী এ সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ১২০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের (‘কোভিড-১৯’) প্রতিষেধক আসতে দেড় বছর লাগার কথা জানালেও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী সারাহ গিলবার্ট দাবি করেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।