কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআরের দাবি তুলে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,কয়েকটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল পিআর পিআর দাবি তুলে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা পিআর চাইনা। আমরা জনগণের পি আর চাই। কিন্তু আজকে তারা এই আজগুবি দাবি তুলে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। এই পিআর খাইলে মানুষের জ্বর যায় না মাথাব্যথা যায় তা কেউ জানে না।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিন শাখা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

গয়েস্বর আরো বলেন, পিআরের দাবিতে যে রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে তারা আগামী নির্বাচনকে বানচাল করে শেখ হাসিনাকে দেশে আসার সুযোগ করে দিবে। আজকে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে শেখ হাসিনা ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে।তখন কিন্তু আপনারা এবং আমরা কেউ আওয়ামী লীগের হাত থেকে বাঁচতে পারবো না। ভারত গত১৭ বছর আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এদেশ কে শাসন করেছে। এখন জামাতের মাধ্যমে শোষণ করার ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচনকে হালচাল করতে চায় তাদের অস্তিত্ব বিলিন করে দেওয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে আমাদের দেশের সচেতন জনগণ। তিনি বলেন, আমরা হাসিনার মতো নারীর ক্ষমতায়ন চাই না। আমরা খালেদা জিয়ার মত নারীর ক্ষমতায়ন চাই। বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি’র জন্য আপোষহীন নেত্রী নন তিনি সারা বাংলাদেশের জনগণের নেত্রী। ওয়ান ইলেভেনের সময় তার বাসায় দেড় মাস কোন রান্নাবান্না করা হয়নি। তখন বাহির থেকে তার বাসায় খাবার যেত। তিনি সেই খাবার খেতেন। আমাদের দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে সুড়সুড়ি দিয়ে কিছু ইসলামিক নামধারী রাজনৈতিক দল নানা ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এই হুজুরের দলগুলো আগামীতে গণতান্ত্রিক উপায় নির্বাচনে টিকতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি বিএনপি’র জন্য ভালো নয়। বিএনপি জনগণের জন্য ভালো। কিন্তু আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য ভালো জনগণের জন্য ভালো নয়। হাসিনা অপরাধ করেছে বলেই সে দেশ থেকে পালিয়েছে। হাসিনা ভারতে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু হিন্দুরা এই দেশ থেকে পালাইনি। যে কোন ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে পারে এই নারী সমাজ। নারীদেরকে ধর্মীয় কুসংস্কারের বাহিরে এনে তাদেরকে যেভাবে ক্ষমতায়ন করেছেন তার নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। নারী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিসেস আফরোজা আব্বাস বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীদের অবদান অপরিহার্য।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নারীদের রাজনীতিতে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি এদেশে নারী নেতৃত্ব তৈরি করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথম বেগম রোকেয়া পুরস্কার শুরু করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া প্রথম নারী শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলেন। নারীদের সস্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য নানা কর্মসূচি তিনি হাতে নিয়েছিলেন। যে নারী ধর্ষণ শিখায় সেই নারীর ক্ষমতায়ন আমরা চাই না। যেই নারী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে সেই ফ্যাসিস্ট নারী শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা গুলো পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পিয়ার পিয়ার দাবি তুলে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো হুমকি দিচ্ছে আপনারা তাদের সুযোগ দেবেন না। এখন আমাদের ভোট আমরা দিব যাকে খুশি তাকে দেবো। দিনের ভোট দিনে দেব। আর যেন কেউ রাতে ভোট দিতে না পারে সেই দিকে সবাই সজাগ থাকবেন।

ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায়চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস বেগম ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমূখ।ই

মন্তব্য করুন