কবিতা- জীবন সংগ্রাম,

কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা
বাংলাদেশ থেকে।

ঈদ এসেছে কি করে, হব আমি খুশি।
ঈদের মার্কেট করতে লিস্ট দিয়েছে বেশি।
জিনিসের দাম আগুন সমান পাইনা বেতন।
কি করে আত্মীয় স্বজনের নিবো আমি যতন।
বাজার ঘাট জামা কাপড়, হয়নি তো কেনা।
তাঁর উপরে লোকের কাছে, আছি অধিক দেনা।

ভেবেছিলাম গ্রামে গিয়ে, করবো আমি ঈদ।
কাউকে কিছু দিতে পারলাম না,ফেটে যায় হৃদ।
ছোট সোনা মনিদের, কষ্টে মুখ করেছে ভার।
শুন্য হাতে যখন বাড়িতে ঢুকি,নিচু থাকে মোর ঘাড়।
বেতন আর দিলো কই, ঈদ তো দেখি কাল।
আকাশটা মনে হয় খুব ভারী, থম থম বাড়ির হাল।

বুড়া বাবা, মার মনে আশা,ছেলে আনবে বাজার করে।
মাসের শেষ কিছুই তো নেই, মোদের এই ঘরে।
ভেবেছিলাম ঈদ করতে, যাবো গ্রামের বাড়ি।
বাচ্চারা বলে কিছু তো দিলেনা বাবা,বউ বলে শাড়ি।
মনটা যেনো নিথর দেহ, আমি জীবন্ত হয়েছি লাশ।
শান্তনা দেবার ভাষাটি নেই, বুকের ভিতরে হাঁসফাঁস।

সবাই কে দেখি অঝোরে, ঝরছে চোঁখের পানি।
বছর শেষে খুশির ঈদ, কি করে এ কষ্ট মানি।
পুরণ কাপড় পড়ে মোরা, ঈদ গাহে যাই।
নামাজ শেষ কি দিবো বাচ্চাদের, কিনতে পারিনি সিমাই।
মনের দুঃখে ব্যথিত আমি, থাকলাম শুয়ে।
বউ মোর কাঁদে শুধু, বাচ্চাদের বুকে লয়ে।

মনে হয় পৃথিবীতে বেঁচে থেকে, নেই আর লাভ।
এই ভাবে জীবন পার হয়, দেশের কি ভাব।
বাবা,মা সব সময় ফোন করে,হ্যালো বাবা হ্যালো।
ছেলের মোর খবর নেই, কি যে তাঁর হলো।
বারবার তাকিয়ে দেখছে ছেলেটা ফোন।
বাবা মার একমাত্র ছেলে, তার ভরসায় জীবন।

পথের দিকে চেয়ে মায়ের, কেটে যায় কতো দিন।
ছেলে আর এলো না বাড়িতে, ফাটে বুকের জমিন।
হঠাৎ করে বুড়া বাবা মা, চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এই ভাবে কষ্টের আঘাতে, যায় তাঁরা কবরে।
মনের কষ্ঠে কেন মানুষ, হবে চোর ডাকাত।
সিন্তাই করতে গিয়ে,রাগে ধনীদের করে আঘাত।
বিপদে পড়ে মানুষ গুলো, হচ্ছে কতো খুনি।
এসব কাহিনী তুলে ধরে না, কোনো ঞ্জানী গুণি।

যতদিন গাঁয়ে বল থাকে, সরকার দিক চাকরি কাজ।
অভাব থেকে মুক্তি পাবে, সমাজ ভালো থাকতো আজ।
জীবন বাঁচাতে এই ভাবে, মানুষ হয় সব খুন।
কারাগারে বন্দী করে, সংসারে ধরেছে ঘুন।
এই ভাবে কতো জীবন, অকালে হচ্ছে শেষ।
মানুষের কোন দোষ নেই, খারাপ হচ্ছে শুধু দেশ।

মন্তব্য করুন