
খবর ডেস্ক :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও চৌহালীতে এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডলের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত ও ২ হাজার নেতামকর্মীকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ করেছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। গতকাল দুপুরে বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল লতিফ বলেন, ‘২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত নাশকতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ট্রেন পোড়ানো মামলার আসামিরা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে নৌকা প্রতীকের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হওয়ায় নির্বাচনের দিন থেকে আমার প্রায় শতাধিক কর্মীকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে হিন্দু সমপ্রদায়ের বাড়িঘর ও মূর্তি।
প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী হামলা ও মারপিটের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এসব সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরলেও রহস্যজনক কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৃহৎ কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানূর বিশ্বাস, পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ ও নুরুল ইসলাম সাজেদুল, রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সনিয়া সবুর আকন্দ, বেলকুচি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান, সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভাষানী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি গোপাল চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল মমিন মণ্ডল এমপি’র মোবাইলে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, আমাদের লোকজন কোনো গ্যাঞ্জাম করে নাই। বিভিন্ন জায়গায় তারাই আমাদের লোকজনের উপর আক্রমণ করেছে।
সহিংসতার ঘটনায় সমপ্রতি আটক হওয়া আমিরুল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমিরুল গত নভেম্বর মাসে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। নির্বাচনে নৌকার কাজ করেছে। সে কোনো মারামারির সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, যে কটা ঘটনা ঘটেছে মামলা হয়েছে। ৭টি মামলার প্রতিটির প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনায়েতপুরে একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেটাতেও মামলা হয়েছে এবং দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের কাছে যেসব ঘটনা এসেছে, যেগুলো মামলার মতো সেগুলোর মামলা গ্রহণ করেছে। যেটা মামলার মতো নয়, জিডি গ্রহণ করে তদন্ত করা হয়েছে। আসামিদেরও ধরা হচ্ছে। পুলিশের অবস্থান পরিষ্কার। ইলেকশনের পরে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।