
অনলাইন ডেস্ক : শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মিজানের ধারালো চাকুর আঘাতে এক সাংবাদিককে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আহত ওই সাংবাদিকের নাম মো. এনামুল হক। সে দৈনিক বাংলার নবকন্ঠ পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে আহত সাংবাদিক জানান।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে শেরপুর সদর থানায় শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মিজানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
সাংবাদিক এনামূল জানান, গত ৮ জুলাই সোমবার সকালে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলায় যাওয়ার সময় সদর উপজেলার শিমুলতলী বাজারে পৌছার সাথে সাথে ভাইস চেয়ারম্যান মিজান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে এনামুলের ওপর হামলা চালায়। এসময় মিজান নিজে দেশীয় চাকু দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক। এতে তার মাথায় গভীর ক্ষত হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে এ ব্যাপারে এনামুল বাদি হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এঘটনার পর মিজান সাংবাদিক এনামূলকে হুমকি অব্যহত রেখেছে। ফলে ভাইস চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের হুমকির ভয়ে এখন সাংবাদিক এনামুল তার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে জেলা শহরে অবস্থানরত বড় ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যানকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, সাংবাদিক এনামুল হকের উপর হামলার প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।ই