
খবর ডেস্ক :
নগরীর আসকারদীঘির পাড়ে পাহাড় কেটে বাড়ি বানানোর কাজ বন্ধ করে দিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অভিযানে নামে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হলে বাড়ি নির্মাণে নিয়োজিত সাইট ইঞ্জিনিয়ারসহ সকলে পালিয়ে যান। সিটি কর্পোরেশন কাজ বন্ধ করে দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, নগরীর আসকারদীঘির পাড়ে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের তোড়জোড় চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। চারদিকে উঁচু ঘেরা দিয়ে ভিতরে পাহাড়টি সাবাড় করে দেয়া হচ্ছিল। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে পাহাড় সাবাড়ের এই ঘটনা নিয়ে গতকাল দৈনিক আজাদী একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, ৯২টি পরিবার একজোট হয়ে স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামীয় একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসকারদীঘির পাড়ে পাহাড় কেটে ৩টি ভবন নির্মাণ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের খবর পেয়ে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সাইট ইঞ্জিনিয়ার পালিয়ে যান। দায়িত্বশীল আর কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, আমরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ঘটনাস্থলে মালিকপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় আমরা মামলা বা জরিমানা করতে পারিনি। তবে আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানিয়ে দিচ্ছি। এই পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হবে।
অভিযানের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পাহাড় কাটার কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি ইতোমধ্যে পাহাড়টির বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলেছে। যথাযথ উদ্যোগ নেয়া না হলে বাকি পাহাড়ও তারা সাবাড় করে দেবে।