আনোয়ারাই ৭ প্রতিষ্ঠান,লোহাগাড়ায় ৫ বসতঘরসহ ১২ প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

পুড়ে যাওয়া এই দৃশ্যটি লোহাগাড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের।
খবর ডেস্ক:
আনোযারার বটতলী রুস্তম হাটে দৌলত রাইস মিল, জামাল রাইস মিল ও শাহ মোহসেন আউলিয়া রাইস মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ জানুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। স্থানীয়রা আগুনে ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৮টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখা দিলে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। আগুনে গোলাম মোহাম্মদের নাইস মিল, দৌলতের রাইসমিল, জামাল উদ্দিনের রাইস মিল, কাকুলি স্টুডিওসহ প্রায় ৭টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের উৎপত্তি জানা যায়নি।

এদিকে, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৫ বসতঘর। আগুন লাগার পর ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্তরা। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তাঁরা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল আলীম সিকদার পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা হলেন- অলি আহমদের পুত্র মকবুল আহমদ, নজির আহমদের পুত্র মোঃ ইউনুচ, মাহবুবুর রহমান, মোঃ ইলিয়াছ ও নজরুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ওসমান গনি জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লেগে মুহুর্তের মধ্যে ৫ পরিবারের বসতঘর পুড়ে গেছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারগুলো। আগুনের সূত্রপাত এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে কোন একটি বাড়ি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি।

লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার রুবেল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা চালায়। এতে ৫ পরিবারের বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুনের সুত্রপাত কিভাবে সেটা জানা যায়নি।

মন্তব্য করুন