
অনলাইন ডেস্ক : ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাতে ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে হলগুলো থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা, ‘গোলামি না আজাদি? আজাদি, আজাদি’ ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’ ‘দিয়েছি তো রক্ত’ আরো দেব রক্ত’ ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘আপোস না সংগ্রাম? সংগ্রাম, সংগ্রাম’ ‘হাইকমিশনে হামলা কেন? দিল্লি তুই জবাব দে’ ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতা, গড়ে তোলো একতা’ ইত্যাদি সেøাগান দেন।
ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রী আশরেফা বলেন, ‘আওয়ামী এদেশে দিল্লির দাবার ঘুঁটি ছিল। ভারত সবসময় তাদের আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। বছরের পর বছর সীমান্তহত্যা হয়েছে, কখনো আমরা চোখে চোখ রেখে বিচার চাইতে পারছি না। শুধু সীমান্তহত্যা না, আমাদের সবক্ষেত্রে অসম সম্পর্ক ছিল। এরই জন্যে শহিদ হয়েছে আবরার ফাহাদ। এই নতুন বাংলাদেশে দিল্লির আধিপত্য বিস্তার হতে দেবে না।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত যখন নাক গলাবে না, তখনই তারা বন্ধু রাষ্ট্র হতে পারে। এর আগে নয়। গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকার ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। মোদিকে স্পষ্ট বলে দিতে চাই, বাংলাদেশে আওয়ামী শাসন শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে আর ফিরতে দেওয়া হবে না।
তারা বলেন, ‘ভারত যদি আগের মতো বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তাহলে বলতে চাই- শরীরে বিন্দুমাত্র রক্ত থাকা পর্যন্ত ভারতের আধিপত্য মানব না। দিল্লির গোলামকে যেভাবে পালাতে বাধ্য করেছি, ঠিক একইভাবে দিল্লিকে আমরা রুখে দেব, ইন শা আল্লাহ।ই