
অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নানা অপতৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে আটক অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ব্রিফিংয়ের সময় তিনিও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে ছিলেন।
এসময় আসিফ মাহমুদ বলেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সামনে আমাদের যে ইভেন্ট আছে সেই ইভেন্টগুলোকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে শেষ করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভালো আলোচনা হয়েছে, আশা করি সামনের ইভেন্টগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে। এর বাইরে গ্রেফতার অভিযান বৃদ্ধি করার ব্যাপারে আমরা কিছু অ্যাক্টিভিটি গত কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি। এর ভিত্তিতে সারাদেশে আটক অভিযান আরও জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলাফল হয়ত আপনারা দেখতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা বাইরে আছেন এখনো নানাভাবে ভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছেন, ফান্ডিং করছেন, মিছিল করার চেষ্টা করছেন। শনিবারও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, সুস্পষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের আটক করা হবে।
ছাত্রলীগ ফিরে আসবে বলে যে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে সেই বিষয় উপদেষ্টা বলেন, যে ছবি পেয়েছি তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য এসেছে যে এটি অন্য সময়ের ছবি কিংবা সেখানে যে ছাত্রলীগ লেখা ছিল সেটি এডিটেড, এমন তথ্য এসেছে। আমরা দেখেছি যে তারা (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কিন্তু সেগুলো হয়নি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) যেকোনো সময় বিশৃঙ্খলা করতে পারে, সেই সম্ভাবনা আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা পুরোপুরি এলিমিনেটেড (নিশ্চিহ্ন) না হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শেষ রাতে সাধারণত ছিনতাইটা হয়। আমরা পুলিশকে ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি, শেষ রাতে যেন পেট্রোলিংটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের টহল বাড়িয়ে ছিনতাই যাতে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা যায় সে চেষ্টা করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি তবলীগ জামায়াতের ইজতেমা নিয়ে আলোচনা করেছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন যে অবস্থা আছে এখান থেকে আরো উন্নতি করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর ভালোভাবে উদযাপন করতে পারে এ ব্যাপারে আমাদেরকে ব্যবস্থা করতে হবে।
ইজতেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুই পক্ষের সঙ্গে আবার বৈঠক হবে। এর আগেরবার যেভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবার সেভাবেই হবে।ই