গিয়াস উদ্দিনের জায়গার, আইনগত অভিমত :

আলহাজ্ব মোঃ রাশেদুল ইসলাম
বিএ (অনার্স) এম এ, এল এল, বি (ফাস্ট ক্লাস) এলএল.এম, ডিপ্লোমা ইন সার্ভে (ফাস্ট ক্লাস)
এডভোকেট
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া সহকারী জজ আদালত, লোহাগাড়া জজ আদালত, চট্টগ্রাম। চেম্বার: কোর্ট রোড (আইনজীবি ভবনের বিপরীতে), সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম। মোবাইল নং-০১৮২১-৯১৩২৮৬
………………………………..তারিখ : ১৫/০৭/২০২২ইং
আইনগত অভিমত :
অভিমত গ্রহীতাঃ-গিয়াস উদ্দিন পিতা-মৃত আবদুল মাবুদ, সাং-বারদোনা, থানা/উপজেলা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।

উপস্থাপিত দলিল ও খতিয়ান :
অভিমত প্রার্থী বিগত ২২/১০/১৯৮৫ ইং তারিখের আমমোক্তার দলিল, বিগত ২৫/০৩/৮৯ ইং তারিখের ৭৪০নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিল, বিগত ০৯/১২/১৯ ইং তারিখের ৪১৭২নং রেজিষ্ট্রিকৃত দানপত্র, বিগত ১০/১০/১৯ ইং তারিখ ৩৩৭৮নং রেজিস্ট্রিকৃত হেবার ঘোষণাপত্র, নামজারী বি,এস ৩৯৬৬নং খতিয়ান, বিগত ১১/১০/৮৩ ইং তারিখের ৭০৫৬নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিল, একই তারিখের ৭০৫৮নং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল সহ মোট ৪টি কবলা মূলে-৩০০ শতক ভূমি মোঃ আয়ুব সাধন চন্দ্র ধরকে বিক্রয় করার দলিল এবং সংশ্লিষ্ট আর,এস/ বি.এস খতিয়ান উপস্থাপন করেন।

আলোচনাঃ-
দলিল ও খতিয়ানদিতে বর্ণিত সম্পত্তির আর, এস রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন করিম বক্স ও আলী হোসেন। উক্ত করিম বক্স মৃত্যু বরণ করিলে একমাত্র পুত্র হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান ওয়ারিশ পরবর্তী হয়। হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান এর মাতা লাল জান আর,এস রেকর্ডী আলী হোসেনকে ২য় স্বামী গ্রহণ করেন। আলী হোসেন মরণে স্ত্রী লাল জান ওয়ারিশ সূত্রে স্বত্ববান হন। উক্ত লাল জান মরণে একমাত্র পুত্র হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান ওয়ারিশ পরবর্তী হয়। উক্ত হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান নিজ পিতা করিম বক্সু হইতে এবং মাতা লাল জান হইতে স্বত্ব প্রাপ্ত হইয়া বিগত বি,এস জরিপে তাহার নামে বি,এস খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচারিত হয়। জীবন জীবিকার উদ্দেশ্যে হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান বার্মা দেশে গমন করিয়া বসবাসরত থাকেন। হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান বার্মায় অবস্থান কালে এই দেশে তার ১ স্ত্রী মাবিয়া খাতুন, ১ পুত্র মোঃ আইয়ুব ও কন্যা মমতাজ বেগম বসবাস রত থাকেন। বার্মায় বসবাসরত হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান দেশে অবস্থান রত স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদের সহিত দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকিলে উক্ত হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান মৃত্যু বরণ করিয়াছে বলিয়া তৎ স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বিশ্বাস করিতে থাকেন। ইহা এলাকায়ও বহুল প্রচারিত হয় যে, বি,এস রেকর্ডী হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান বার্মায় মৃত্যু বরণ করিয়াছেন এবং তৎকারণে হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী, পুত্র, ১ কন্যা ওয়ারিশ পরবর্তী হিসাবে পিতার ত্যাজ্যবিত্তে স্ত্রী অংশে, বাদ বাকী অংশে ১ পুত্র, ১ কন্যা ২:১ অনুপাতে মালিক স্বত্ববান হইয়াছেন বলিয়া দাবী করে। তদানুযায়ী হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান পুত্র মোঃ আইয়ুব তৎ পিতার নামীয় সম্পত্তিতে হিস্যাংশ দাবী করিয়া দখলে আমলে থাকিয়া বিগত ১১/১০/১৯৮৩ ইং তারিখের ৭০৫৬/৭০৫৭/৭০৫৮/৭০৫৯নং ৪ কিতা কবলা মূলে মোট ৬০ শতক সম্পত্তি সাধন চন্দ্র ধর নামক ব্যক্তিকে হস্তান্তর করিযাছেন। হস্তান্তর গ্রহীতাকে সাধন চন্দ্র ধর দাতা মোঃ আইয়ুব এর জ্ঞাত সারে খরিদা সম্পত্তি ময় তছরুপ করিতে থাকে।
ইতিমধ্যে বি,এস রেকর্ডী হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান বার্মায় জীবিত আছেন মর্মে প্রকাশ পায়। হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমানের একমাত্র কন্যা মমতাজ বেগম বহু কষ্টে বার্মায় অবস্থান রত পিতার সহিত যোগাযোগ স্থাপন করেন। অন্যদিকে হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান স্বীয় পুত্র মোঃ আইয়ুব কর্তৃক সম্পত্তি নয় ছয় করা বিষয়ে অবগত হইয়া উদ্বিগ্ন হইয়া পড়েন এবং তৎ কারণে হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান নিজ নামীয় ও স্বত্বীয় সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য সম্পূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরন পূর্বক একমাত্র কন্যা মমতাজ বেগমকে আমমোক্তার নিযুক্ত করিয়া বিগত ২২/১০/১৯৮৫ ইং তারিখে একখানা আমমোক্তারনামা সম্পাদন করিয়া দেন। নিযুক্তিয় আমমোক্তার মমতাজ বেগম পিতা হাবিব উল্লা প্রকাশ হাবিবুর রহমান স্বত্বীয় সম্পত্তির শাসন সংরক্ষণ ইত্যাদি করিয়া আসাকালে পিতার ওসিয়ত অনুযায়ী সমুদয় সম্পত্তি মাতা মাবিয়া খাতুনকে ২৫/০৩/৮৯ ইং তারিখের ৭৪০নং রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্র মূলে হস্তান্তর করিয়া দেন। মাবিয়া খাতুন তৎ দানপ্রাপ্ত সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলে থাকিয়া মৃত্যু বরণ করিলে তৎ ত্যাজ্যবিত্তে ২য় স্বামী ফারুক আহমদ ৪ ভাগের ১ অংশে এবং বাদ বাকী স্বত্বের ৩ ভাগের ২ অংশে এক পুত্র মোঃ আইয়ুব ও এক কন্যা মমতাজ বেগম ৩ ভাগের ১ অংশে স্বত্ববান হয়।
উক্তভাবে ফারুক আহমদ তৎ প্রাপ্ত স্বত্বের ২৪ শতক
সম্পত্তির বিগত ০৯/১২/২০১৯ ইং তারিখের ৪১৭২নং রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্র মূলে মমতাজ বেগমের পুত্র গিয়াস উদ্দিনের বরাবরে হস্তান্তর পূর্বক দখলে- অর্পন করেন।

বর্ণিত মমতাজ বেগম বিগত ১০/১০/২০১৯ ইং তারিখে ৩৩৭৮নং রেজিস্ট্রিকৃত হেবানামা মূলে তৎ প্রাপ্ত ২৪ শতক সম্পত্তি একমাত্র পুত্র গিয়াস উদ্দিন বরাবরে হস্তান্তর পূর্বক দখলে অর্পন করেন।
উক্তভাবে অভিমত গ্রহীতা গিয়াস উদ্দিন দান ও হেবা মূলে ৪৮ শতক সম্পত্তির স্বত্ববান ও দখলকার স্থিত আছেন এবং তাহার নামে বারদোনা মৌজার বি,এস নামজারী ৩৯৬৬নং খতিয়ান সৃজিত আছে।

আইনগত বিশ্লেষন :-
হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমানের একমাত্র পুত্র মোঃ আইয়ুব বিগত ১১/১০/৮৩ইং তারিখে পিতার নামীয় বি,এস খতিয়ানোক্ত ৬০ শতক সম্পত্তির জন্য কবলা মূলে সাধন চন্দ্র ধর নামক ব্যক্তির বরাবরে ০৪ কিত্তা কবলা দলিল সম্পাদন করিয়া দিয়াছেন। কবলা গ্রহীতা সাধন চন্দ্র ধর মরণে তৎ পুত্র সবুজ ধর গং ওয়ারিশ পরবর্তী হইলে তাহাদের নামে বারদোনা মৌজার ৩৯১৮নং বি,এস নামজারী খতিয়ান সৃজিত হইয়া বলবৎ আছে।

উক্ত মোঃ আইয়ুব বর্ণিত ০৪ কিত্তা কবলা সম্পাদন পরবর্তীতে তৎ পিতা হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান জীবিত থাকার বিষয়ে প্রকাশ পায় এবং উক্ত হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান তৎ স্বত্বীয় সম্পত্তির জন্য কন্যা মমতাজ বেগমকে আমমোক্তার নিযুক্ত করিয়া বিগত ২২/১০/১৯৮৫ ইং তারিখে একখানা আমমোক্তারনামা দলিল সম্পাদন করিয়া দেন। উক্ত আমমোক্তারনামা মূলে মমতাজ বেগম পিতা- হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমানের স্বত্বীয় সমুদয় সম্পত্তি মাতা মাবিয়া খাতুনের বরাবরে বিগত ২৫/০৩/১৯৮৯ ইং তারিখের ৭৪০নং দানপত্র হস্তান্তর করিয়া দেন। দানপত্র গ্রহীতা মাবিয়া খাতুনের মৃত্যু পরবর্তীতে ওয়ারিশানগণ স্বত্বের মালিক হন। মাবিয়া খাতুনের ওয়ারিশ ফারুক আহমদ ও মমতাজ বেগম হইতে অভিমত গ্রহীতা গিয়াস উদ্দিন দান ও হেবা মূলে সম্পত্তি প্রাপ্ত হন। অন্যদিকে মাবিয়া খাতুনের পুত্র মোঃ আইয়ুব ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তিতে স্বত্ববান পরিগণিত হন।
কিন্তু প্রশ্ন হইল যে, মোঃ আইয়ুবের প্রাপ্ত স্বত্ব অবশিষ্ট আছে কি না? উক্ত মোঃ আইয়ুব তৎ পিতা হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান জীবিত থাকাকালে বিগত ১১/১০/৮২ ইং তারিখের ০৪ কিত্তা কবলা মূলে সাধন চন্দ্র ধর বরাবরে হস্তান্তরিত বরাবরে সম্পত্তির অবস্থা কি হইবে? এক্ষেত্রে আইনের সুস্পষ্ট বিধি আছে কি না?

উক্ত মোঃ আইয়ুবের স্বত্ব সম্পর্কে আইনের Estopple নীতি কার্য্যকর হয়। এই নীতি মূল কথা হচ্ছে স্বকার্যজনিত বাধার দ্বারা অশুদ্ধ হস্তান্তর সিদ্ধ হওয়া। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি কোন মূল্য গ্রহণ পূর্বক যার সে মালিক নয় তা হস্তান্তর করে এবং পরবর্তীতে সে তাতে স্বত্ব অর্জন করে। তবে ঐ বিষয়ে গ্রহীতা পূর্বোক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক নীতি উত্থাপন করিতে পারিবে।

উক্ত Estopple নীতির অনুকূলে উচ্চ আদালতে একাধিক সিদ্ধান্ত রহিয়াছে। “8PLC (Dac) 659”-যখন কোন ব্যক্তি প্রতারনামূলক ভাবে বা ভুলভাবে এমন স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে যার উপর তার কোন স্বার্থ বা স্বত্ব নেই। এক্ষেত্রে যদি উক্ত বিক্রেতা বা হস্তান্তরকারী পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তিতে কোন স্বার্থ বা স্বত্ব অর্জন করে তা Feeding the Estopple নীতি অনুসারে হস্তান্তর গ্রহীতা বা ক্রেতার অনুকূলে যাবে।

সুতারাং বলা যায় যে, মোঃ আইয়ব তৎ পিতা হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবর রহমান এর নিকট ইইতে প্রাপ্ত সম্পত্তির আন্দর ৬০ শতক সম্পত্তি ০৪ কিত্তা দলিল মূলে সাধন চন্দ্র ধর এর নিকট হস্তান্তর করায় এবং তাহা Estopple নীতি অনুযায়ী কার্যকর হয়। উক্তরূপ বিক্রি বাদ অবশিষ্ট সম্পত্তি থাকিলে মোঃ আইয়ুব স্বত্ববান বলিয়া গণ্য হইবে।
বি,এস রেকর্ডী হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান প্রদত্ত বিগত ২২/১০/১৯৮৫ ইং তারিখে আমমোক্তারনামা দলিল আইনগত ভাবে বৈধ ও স্বীকৃত দলিল হয়। S.R. Act-৩৯ ধারা মতে উক্ত আমমোক্তারনামা দলিল বিজ্ঞ আদালত ছাড়া অন্য কেহ বাতিল বা অবৈধ বলার অবকাশ নাই। তাছাড়া উক্ত আমমোক্তারনামা মূলে হস্তান্তরিত সম্পত্তি বায়াক্রমিক সূত্রে অভিমত গ্রহীতা গিয়াস উদ্দিন প্রাপ্ত হইয়াছেন এবং তাহার নামে নামজারী বি,এস খতিয়ান ও সৃজিত আছে। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে নজিরও আছে। 35 DLR, Page-295-সাবেক খতিয়ান হইতে সর্বশেষ খতিয়ানের রেকর্ড প্রনিধানযোগ্য। 30 DLR, Page-81- খতিয়ানের লিপি ততদিন পর্যন্ত শুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হইবে, যতদিন পর্যন্ত ইহা ভুল হিসাবে গণ্য না হয়।

সিদ্ধান্তঃ-
উপরোক্ত আলোচনা ও আইনগত বিশ্লেষন মোতাবেক সিদ্ধান্ত হইল যে, হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান এর জীবদ্দশায় পুত্র মোঃ আইয়ুবের সম্পাদিত বিগত ১১/১০/৮৩ ইং তারিখের ৭০৫৬/৭০৫৭/৭০৫৮/৭০৫৯নং ০৪ কিত্তা কবলা আইনের Estopple নীতি মোতাবেক কার্যকর ও বলবৎ আছে। উক্ত হাবিব উল্ল্যা প্রকাশ হাবিবুর রহমান সম্পাদিত বিগত ২২/১০/১৯৮৫ ইং তারিখে আমমোক্তারনামা মূলে মমতাজ বেগম প্রদত্ত দানপত্র মোতাবেক মাবিয়া খাতুন স্বত্ববান হওয়া আইনগতভাবে বৈধ বটে। মাবিয়া খাতুন মরণে ওয়ারিশ পরবর্তীগণ স্বত্ব প্রাপক হন। তৎ সূত্রে পুত্র মোঃ আইয়ুব এর প্রাপ্ত স্বত্বে স্বত্ববান হইলেও বর্ণিত Estopple নীতি মোতাবেক উক্ত স্বত্ব সাধন চন্দ্র ধর প্রাপ্ত হইবেন। অভিমত গ্রহীতা গিয়াস উদ্দিন দান ও হেবা মূলে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে স্বত্ববান ও দখলকার থাকিতে আইনগত কোন বাধা নাই।

ইহাই আমার আইনগত অভিমত।

আলহাজ্ব মোঃ রাশেদুল ইসলাম
বিএ (অনার্স) এম এ, এল এল, বি (ফাস্ট ক্লাস) এলএল.এম, ডিপ্লোমা ইন সার্ভে (ফাস্ট ক্লাস)
এডভোকেট
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া সহকারী জজ আদালত, লোহাগাড়া জজ আদালত, চট্টগ্রাম। চেম্বার: কোর্ট রোড (আইনজীবি ভবনের বিপরীতে), সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম। মোবাইল নং-০১৮২১-৯১৩২৮৬

মন্তব্য করুন