অভিযোগ ছাড়াই গণগ্রেফতার সঙ্কট আরও ঘণীভূত করবে: ইউট্যাব

অনলাইন ডেস্ক : অভিযোগ ছাড়াই গণগ্রেফতার করে সঙ্কটের কোনো সমাধান হবে না। বরং এই অন্যায় গ্রেফতার অভিযান সঙ্কটকে আরও ঘণীভূত করবে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

আজ সোমবার ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদ হাসান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কারের মতো যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমাতে গিয়ে সরকার এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে সঙ্কটের সমাধান না করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গভীর রাতে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে এবং যৌথ অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই। এরপরও যদি কেউ এসব অন্যায় এবং অসাংবিধানিক ঘটনার প্রতিবাদ না করেন সেটি হবে অন্যায়। আমরা মনে করি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গণগ্রেপ্তার করে সঙ্কটের কোনো সমাধান হবে না। বরং এই অন্যায় গ্রেপ্তার অভিযান সঙ্কটকে আরও ঘণীভূত করবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুধু একটি পক্ষের বিবরণ (ন্যারেটিভ) প্রচার করা হচ্ছে যে দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, দেশের আসল সম্পদ হচ্ছে মানুষ। যখন ছাত্রছাত্রীদের ওপর গুলি করা হয়, ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন কোনো শিক্ষক বা সচেতন বিবেকবান মানুষ ঘরে বসে থাকতে পারেন না। অবিলম্বে এই বর্বর ও অমানবিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, আমরা দেখছি পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ধরণের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহবশত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এমনকি পেশাজীবীদেরও গ্রেপ্তার করছে। কদিন আগে দেশের বরেণ্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বাংলাদেশের জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যিনি বয়স্ক এবং গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার সন্ধান দিচ্ছে না।
এছাড়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এভাবে অসংখ্য পেশাজীবী ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে নাজেহাল ও নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।ই

মন্তব্য করুন