
দেশ এখন গভীর সংকটের মুখোমুখি : কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন
অনলাইন ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংকটের ক্ষেত্রে সরকারের একঘুয়েমী নীতিই দায়ি। সরকারকে মনে রাখতে হবে, হত্যা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না। ছাত্রসমাজের দাবি না মানা, নানা ধরনের নির্যাতন ও আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে পিছু হটানোর চেষ্টা এই সংকটকে আরও গভীর করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় কৃষক – শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন।
শনিবার (৩ আগষ্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সভা-সমাবেশ করার অধিকার খর্ব করে, হামলা চালিয়ে,হত্যা ও গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা গেলেও চিরস্থায়ী করা যায় না। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতাকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তা নজিরবিহীন। তিনি বলেন, যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তবে পরিকল্পিতভাবে সেটা ছিনতাই হয়ে যায় সরকারের ভুল নীতি ও এক ঘুয়েমীর কারণে। এতগুলো প্রাণ চলে গেল, প্রত্যেক মৃত্যুর জন্য যে বা যারাই দায়ী হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সরকার এই কাজটি করবে বলে দেশবাসী বিশ্বাস করতে পারছে না। ফলে ছাত্রদের অধিকার আন্দোলন ক্রমান্বয়ে সরকার পদত্যাগের একদফা দাবীতে পরিনত হচ্ছে।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, দেশ এখন গভীর সংকটের মুখোমুখি। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য, দেশকে এগিয়ে নিতে সার্বিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে সরকারসহ সকলকে। এই প্রক্রিয়া হতে হবে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে। এই প্রক্রিয়া প্রশাসন ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে করতে গেলে বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, বলপ্রয়োগ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে না। বরং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করতে গেলে ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় শাসকগোষ্টির পরিনতি কখনো শুভ হয় না। তিনি বলেন, অবিলম্বে সব হত্যাকান্ডের বিচার ও হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। যেই ন্যায্যতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদার অঙ্গীকার নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সেই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার, সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সে অনুযায়ী বিচার চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রতিটি নিহতের ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারকাজ শুরু করা উচিত। আমরাও প্রতিটি হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেনো এমনভাবে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা না হয় সেজন্য সরকারসহ সকল পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। দু:খজনক হলেও সত্য যে, আন্দোলনকারীদের সাথে সংলাপের জন্য গণভবনের যে দরজা আজ খুলে দেয়া হলো তা কিছুদিন আগে দিলেও এত হত্যা, রক্তপাত ও ধ্বংস হতো না। আজ এমন এক সময় গণভনের দরজা খুলে দেয়া হলো যখন সরকারের পদত্যাগের দাবী জোড়দার হচ্ছে এবং আন্দোলনে শহীদের লাশের উপর দিয়ে আন্দোলনকারীরা আর কোন সংলাপে অংশগ্রহন করতে পারবে না।ই